ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় রাজশাহী কারাগারে সাঈদী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হত্যা মামলায় রাজশাহী কারাগারে সাঈদী ছাত্রলীগকর্মী ফারুক

রাজশাহী: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার (২৬ জুলাই) রাজশাহীর মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালতে তার হাজিরার দিন ধার্য রয়েছে।

এদিকে, জামায়াত নেতা সাঈদীকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও আর কোনো তথ্য দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। রাজশাহীর সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন বলেন, একটি মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে রাজশাহীর আদালতে হাজির করা হবে।

এজন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। অন্য প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যান তিনি।

তবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র বলছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।  

গোপনীয়তার সঙ্গে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। তাকে আদালতে হাজিরের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ালে সকাল থেকে বিষয়টি জানাজানি হয়।  

এর আগে ২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাবি শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছিল। রাজশাহীর সিএমএম আদালতে রাজপাড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।  

অভিযোগপত্রে জামায়াতের কারাবন্দি আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীসহ ১১০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ৩৫ জন এজাহারভুক্ত আসামি।

অভিযোগপত্রে উল্লেখযোগ্য অন্যরা হলেন- রাজশাহী মহানগর জামায়াতের তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, জামায়াত নেতা এমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, রাবি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, নবাব আব্দুল লতিফ হলের শিবির সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি রাইজুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ও শিবির নেতা রুহুল আমীন ও বাপ্পী।

২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সশস্ত্র তাণ্ডব চালায়। রাতভর চিৎকার ও গুলির শব্দে গোটা ক্যাম্পাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এ নৃশংসতায় ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন।

পরদিন সকালে মহানগরীর মতিহার থানা পুলিশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ম্যানহোল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ফারুক হোসেন রাবির গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট জেলার খোর্দ্দ সবুনা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।