শনিবার (১৭ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠার পর কোনো বাঙালি বাংলাকে শাসন করতে পারেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মানে একটা দেশ ধ্বংস করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য। ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা এ আগস্ট মাসকেই বারবার বেছে নেয়। ১৭ আগস্ট তারা সিরিজ বোমা হামলা করে, ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হামলা চালায়। সাধারণ নাগরিকদের জানার অধিকার রয়েছে, এসব হত্যা বা ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা আছে। এটা নিয়ে গবেষণার দরকার আছে, কমিশন গঠনের প্রয়োজন আছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আহতদের সেবায় আমরা তৎকালীন ঢাকা মেডিক্যালের ছাত্ররা এগিয়ে আসি। তাদের চিকিৎসা চলে আর পুলিশি সহযোগিতায় নিহতদের পোস্টমর্টেমের কাজ শেষ হয়। ইতিহাসের এ জঘন্য হত্যার আসল রহস্য বের করতে কমিশন গঠনের দাবি জানাই। জাতি জানতে চায়, এ ঘটনায় আর কারা জড়িত ছিল।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সাংবাদিকবান্ধব। হত্যার মাধ্যমে তার আদর্শকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু, তারা সফল হয়নি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিকরা তার আদর্শ প্রচার করেছি, এখনো করছি।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে পুরো জাতিকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল ঘাতকদের। আমাদের শুধু জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার করলেই হবে না, এ নৃশংস হত্যার পেছনে যারা আছে, তাদেরও বিচার হওয়া উচিৎ।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ, জাকারিয়া কাজল, ওমর ফারুক, আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, বরুণ ভৌমিক, রফিকুল ইসলাম রতন, খায়রুজ্জামান কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
ইএআর/একে