দলের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আজকে (সোমবার) র্যালির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশাকরি লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে এ র্যালিতে।
মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত র্যালি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান আব্দুস সালাম। তবে লিখিত কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই অনুমতিটা দেওয়া হয়েছে মৌখিকভাবে।
গত ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে ছোটখাটো মিছিল সমাবেশ বাদ দিলে সোমবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যালিই হবে সবচেয়ে বড় শো-ডাউন- এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ১৯ আগস্ট দলের যৌথসভা শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীতে আমরা যে শোভাযাত্রাটি করবো সেটাকে শুধু প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা হিসেবে দেখতে চাই না। অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম চলছে সেটাকেও সামনে আনতে চাই। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে সেটাকেও এই র্যালির মাধ্যমে সামনে আনা হবে। র্যালির মাধ্যমে নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইবেন।
বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সোমবারের র্যালিটি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে পরিণত হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই এমন স্লোগানেই মুখরিত থাকবে র্যালি। বিভিন্ন রকমের ব্যানার ফেস্টুন বহন করবেন তারা।
আব্দুস সালাম বলেন, দুপুর ২টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা জড়ো হবেন। সেখানে দলের মহাসচিবসহ সিনিয়র ২/১ জন নেতা বক্তব্য দিয়ে র্যালির উদ্বোধন করবেন। তারপর নাইটিংগেল মোড়, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মৌচাক মার্কেটের সামনে গিয়ে র্যালি শেষ করা হবে।
এদিকে রোববার রাতে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলীয় নেতাকর্মীদের র্যালিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এমএইচ/এএ