তিনি বলেছেন, কূটনীতিকেরা কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ সমর্থন করেন না। তারা বাংলাদেশে কোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ দেখতে চান না।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নের অধ্যাপক ও গবেষকদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কূটনীতিকেরা এখন বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা দেখতে চান। তাদের (বিএনপি) এই মতবিনিময়ে কোনো বাধা নেই। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। আমরাও তো কূটনৈতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করি ও করবো। কাজেই আমি খারাপ দৃষ্টিতে দেখতে চাই না। আমার মনে হয় তারা কূটনৈতিকদের কোনো বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তারপরও, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ভুল তথ্য দিয়ে কূটনীতিকদের বিভ্রান্ত করতে চাইলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করার সক্ষমতা রয়েছে।
বুধবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে ড. রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে একসঙ্গে নির্বাচন করেছে। নির্বাচনের পরে তারা অভিযোগ করেছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলনে যাবে তারা। তবে এ বিষয়ে কোনো সমাধান নেই।
‘এছাড়া আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃরুদ্ধার করবে বলে থাকে বিএনপি। প্রথমত বেগম খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কারণে জেলে যাননি। তিনি দুর্নীতির কারণে আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেছেন। তাকে জেল থেকে বের করতে হলে আইনের মাধ্যমে বের করে আনতে হবে। আন্দোলন করে তারা বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে মুক্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুব সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকারকে আন্দোলন করে কিছু করতে পারবে না। তারা অতীতেও সফল হয়নি। বিএনপি একটি বড় দল। তবে ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
জিসিজি/এমএ