রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারের পাদদেশে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিলে ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, প্রশাসনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘প্রশাসনের একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত মানি না মানবো না’, ‘প্রশাসনের প্রহসন মানি না, মানবো না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের চাপে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। একপাক্ষিক সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করার জন্য ছাত্রলীগের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যে অভিযোগ তোলা হয়েছে আসলেই যদি তেমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে দুই জনকে ডেকে তদন্ত করুন। তদন্ত সাপেক্ষে আমার কর্মী অপরাধী হলে তার দায়িত্ব আমি নিয়ে সংগঠন থেকে বিচার করবো এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে সহযোগিতা করবো। কিন্তু এ ধরনের পদ্ধতির দিকে না গিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে অভিষেক মন্ডল ছাত্র নয়। আমরা বলতে চাই, শুধু সে না; আরও অনেক সংগঠনের নেতাকর্মীরা হলে থাকেন যারা ছাত্র নয়। কিন্তু হল দখল করে আছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসনকে সহোযোগিতা করবো। ’
জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘গতকাল এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। যে মেরেছে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। এখন সাবেক কোনো ছাত্রের বিরুদ্ধে তো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে না। এইজন্য আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে সাবেক শিক্ষার্থী অপসারণের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘দীর্ঘদিন হলগুলোতে কোনো অভিযান চালানো হয় না। সবার সহযোগিতা পেলে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে পারে। ছাত্রলীগ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে, এজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএ/