মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চা এ আলোর মিছিলের আয়োজন করে।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮৮ সালে সিলেটে প্রকাশ্যে রাজপথে প্রগতিশীল রাজনৈতিককর্মী মুনির ই কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি দে ও এনামুল হক জুয়েলকে হত্যার মাধ্যমে সিলেটে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী রাজনীতির উত্থান ঘটে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজও এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।
এ হত্যাকারীদের শাস্তি না হওয়ায়ই সিলেটে একের পর এক খুনের রাজনীতি চালিয়ে যায় জামায়াত-শিবির।
বক্তারা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের পুনর্বিচার, প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান। একইসঙ্গে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধেরও দাবি জানানো হয়।
আলোর মিছিলের শুরুতে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চার আহ্বায়ক মিশফাক আহমদ মিশু এবং সেই সময়ের ছাত্রনেতা ও জাসদ নেতা অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এতে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- সাংবাদিক আল আজাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এনামুল মুনির, নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক সমর বিজয় শী শেখর, জাসদ নেতা কিবরিয়া চৌধুরী ও গিয়াস আহমদ, বাসদ নেতা আবু জাফর ও প্রণবজ্যোতি পাল, গণসঙ্গীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, কবি প্রণব কান্তি দে, সমাজকর্মী ফারমিস আক্তার, সাংবাদিক মইনউদ্দিন মঞ্জু, পরিবেশকর্মী আশরাফুল কবির, নাট্যকর্মী ইন্দ্রাণী সেন সম্পা, সুপ্রিয় দেব শান্ত, সংস্কৃতিকর্মী আয়েশা রুনা, গণজাগরণ মঞ্চ সিলেটের সংগঠক রাজীব রাসেল, সংস্কৃতিকর্মী রোমন আহমদ, চিত্রশিল্পী ইসমাইল গণি হিমন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ প্রমুখ।
এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মনির-ই কিবরিয়া ও তপন জ্যোতি দে’র পরিবারের সদস্যরা আলোর মিছিলে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯
এনইউ/আরবি/