মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলা করেছে।
তবে ছাত্রলীগের দাবি, ছাত্রদল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে অনার্স (স্নাতক) প্রথমবর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাসে চলাকালে শিক্ষার্থীদের ফুল ও কলম দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে যান। এসময় ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কলেজ ক্যাম্পাসে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধাওয়া তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় রিমন ও রুমন নামে ছাত্রদলের দুই কর্মী আহত হন।
কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামকে তার দীর্ঘ সময় আটকে রাখে। ছাত্রদলের আহত দুই কর্মীকে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ছাত্রদল সভাপতি রহিম।
এদিকে, হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের ব্রাদার আব্দুল বাংলানিউজকে জানান, রুমন ও রিমন নামে কেউ তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে আসেননি।
অন্যদিকে, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রাব্বি বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রদলের অভিযোগ সম্পূর্ মিথ্যা ও বানোয়াট। কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা নবাগত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে-ক্লাসে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছিলেন। এসময় ছাত্রদলের ২০-২৫ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ককটেল ফটিয়ে আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রীলীগ তাদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপারেশন) সাইদুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সোহরাওয়ার্দী কলেজে উত্তেজনার খরব পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে পরিবেশ শান্ত দেখতে পান।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ামুল করিম লিটু বাংলানিউজকে জানান, ওরিয়েন্টশন ক্লাস চলাকালে তিনি চার/পাঁচটি ককটেলের মতো বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তবে কি ঘটেছে তা তিনি জানেন না। কলেজের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এসআরএস