শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘জাতীয় সরকার’ গঠনের জন্য পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করে আব্দুর রব বলেন, বিদ্যমান অবৈধ সরকারের পদত্যাগের পর সাংবিধানিক শূন্যতা ও সংকট পূরণ করবে ‘জাতীয় সরকার’।
‘জাতীয় সরকার গঠন হবে রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সমাজ ও বুদ্ধিজীবী শক্তিগুলোর সংলাপের মাধ্যমে। সেই সরকারই রাষ্ট্রের ধ্বংসপ্রাপ্ত তিনটি মৌলিক স্তম্ভকে পুনরুদ্ধার-পুনর্গঠন করার উপায় নির্ধারণ করবে। ’
তিনি বলেন, জাতীয় সরকার গণতান্ত্রিক-শাসনতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তাবনা উত্থাপন করবে। ওই সরকার জাতীয় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্যে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জাতীয় ঐক্য এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মর্যাদাপূর্ণ অংশীদারিত্বের নীতি অনুসরণ করবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার কৌশল অবলম্বন করে সরকার দেশের বিদ্যমান সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। প্রজাতন্ত্রের জনগণকে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের সাংবিধানিক ভিত্তি থেকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র থেকে ভোটাধিকার হরণ করে জনগণকে ক্রীতদাসে পরিণত করা হয়েছে।
‘জনগণের অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ যেই সংবিধান সেই সাংবিধানিক চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে অপসারিত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে আইনের শাসন নিয়মনীতি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে ধ্বংস করে একটা রাষ্ট্রের ধ্বংসস্তুপের ওপর উন্নয়নের উল্লাস প্রকাশ করা হচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়নের আড়ালে মানুষের অধিকারের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে, ন্যায় বিচারের অপমৃত্যু হয়েছে, সাম্যকে ক্রশবিদ্ধ করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এমএইচ/এসএ