রোববার (০৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে এক কর্মশালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে এমন ক্ষোভের কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পড়ুন>>সামনে সম্মেলন, কাদা ছোড়াছুড়ি করবেন না: কাদের
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে ‘কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম' শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক মাধ্যমে আপনারা ছবি পোস্ট করেন, কমেন্ট করেন, শেয়ার করেন। এটা আসক্তির জায়গা। যখন আমি মন্ত্রী বা দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম না তখন ফেসবুকে আমারও বেশি সময় কাটতো।
তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে যেকোনো মেয়ে যে কারো বন্ধু হতে পারে, আবার অনেক বিখ্যাত মানুষও বন্ধু হয়। সেখানে নেতিবাচক ও ইতিবাচক দিক থাকে। ভালোটা নিয়ে খারাপটা বর্জন করতে হবে। আবার এ মাধ্যমে আসক্ত হওয়া যাবে না।
‘আমরা জাতীয় নির্বাচনে ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে জয়লাভ করেছি। এ কাজে সার্বক্ষণিক তদারকি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি,’ যোগ করেন সেতুমন্ত্রী।
স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার লেখা ‘গাংচিল’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সে সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম আমি। অনেক দিন পর হঠাৎ করে ইউটিউব থেকে আমার সামনে এলো সেটি। দেখলাম অনুষ্ঠানে এক নায়িকা আমার পাশে বসে আছেন! সেটা নিয়েও অপপ্রচার করা হলো।
‘‘অনেকেই লিখলেন ‘এ জন্যই তো তার ঘর (সংসার) ভাঙছে’। কষ্ট লাগে এসব অপপ্রচারে। সামাজিক মাধ্যমে যে কেউ যে কারো বন্ধু হতে পারে, পাশে বসতে পারে তাই বলে অপপ্রচার কেন?’’
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী হোসেন মোহাম্মদ মুনসুরের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী এম এ সবুর, অধ্যাপক মাহফুজুল ইসলাম প্রিন্স।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
ইএআর/এবি/এমএ