সোমবার (১৪ অক্টোবর) ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ছাত্রলীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক অনাকাঙ্খিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গঠিত দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির অধিকতর তদন্তসাপেক্ষে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা উক্ত ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথনের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
অমিত সাহার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অধিকতর তদন্তে প্রমাণ হওয়ায় তাকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করছে ছাত্রলীগ।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত করতে ডিবিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ফাহাদকে যে কক্ষে খুন করা হয় সেই ২০১১ কক্ষের বাসিন্দা অমিত। হত্যাকাণ্ডের আগে ১৭ ব্যাচের (ফাহাদের সহপাঠী) এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা মেসেঞ্জারে জিজ্ঞেস করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে?
এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭ ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
পরে এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সবুজবাগ থেকে আটক করা হয় অমিত সাহাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এএ