শনিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাট এলাকায় সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
অবৈধ ক্যাসিনো কারবার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের মধ্যে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাউসার ও সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ পদ হারাতে পারেন।
সেদিকেই ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন সম্মেলন মানেই নতুন মুখ। আর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ব্যাপারে কোনো আপস নেই। যথাসময়ে সম্মেলন হয়। এবারও যথাসময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রবীণ-তরুণ-অভিজ্ঞদের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। এখানে পরিবর্তন হবে, নতুন মুখ আসবে।
তিনি বলেন, সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের বয়স অনেক বেশি হয়ে গেছে। ৭-৮-৯ বছর হয়ে গেছে, তাই সম্মেলন করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। সম্মেলনে দলকে ঢেলে সাজানো হবে।
বুয়েটে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আবরার হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ পরিচয়ের হলেও প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেননি। হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে, ছাত্র-শিক্ষকদের যে দাবি, তা-ও মেনে নেওয়া হয়েছে। শুদ্ধি অভিযানের মতই কে কোন দল, সেটা বিবেচনায় ছাড় দেওয়া হবে না, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কে জড়িত সেটা বিবেচনায় নিয়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দলের কেউ থাকলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
এইচএ/