বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে ও দুপুরে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভা শুরুর আগে এবং পরে দু’দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সি জাহিদ আলম, ভিপি শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, তাড়াশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়ার নাম জানা গেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইদুর রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করে গত ২০ সেপ্টেম্বর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়ে ওই কমিটির প্রথম সভা আহ্বান করা হয়। সভায় যোগ দিতে জেলার নেতারা মাইক্রোবাসে করে আসছিলেন। নেতারা জিকেএস স্কুল এলাকায় সদ্য বিদায়ী সভাপতি সেলিম জাহাঙ্গীরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে নেতাদের বহনকারী মাইক্রোবাস ভাঙচুর ও মারপিট চালায়। দুপুরে সভা শেষে নেতারা বেরিয়ে যাবার পথে থানা গেট এলাকায় পৌঁছালে তাদের উপর আবারও হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির সিনিয়র তিন নেতাসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বিদায়ী সভাপতি সেলিম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে কোন্দলের কারণে দুই দফা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনপক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, এ হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএইচ