‘ভিন্ন একটা রাজনৈতিক দল কিভাবে চলবে এটাও তারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। অথচ সংবিধানে খুব পরিষ্কারভাবে সব দলকে সভা-সমাবেশ ও প্রতিবাদ করার অধিকার দেওয়া রয়েছে’।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সভা-সমাবেশ করার অনুমতি চাইনা, আমরা অবগত করি। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করলে পিডব্লিউডি, সড়কে করলে পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এই সরকার যেটা করছে সেটা গ্রাম্য মোড়লের কায়দায়। সরকার অনুমতি দিতে টালবাহানা করে থাকে। সভা-সমাবেশের দুই ঘণ্টা আগে অনুমতি দেয়। এতে সমাবেশ সফলভাবে করা খুব কঠিন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করে প্রভু বনে গিয়েছিল। আবার এখন তো ১০ বছরে ধরে দেশ শাসন করছে। এখন তারা পাকাপোক্ত প্রভু হিসেবে বসতে চায়। যেটা তাদের মানসিকতার সমস্যা। গণতান্ত্রিক চেতনা তাদের মধ্যে নেই। তারা নিজেদের রাজা-বাদশা ও প্রভু ভাবতে শুরু করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়। তাই অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
‘বর্তমান সরকার ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে মাঠ পর্যায়ে নিজস্ব লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করলেও তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না’।
এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি নূরে সাহাদাত স্বজন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূর করিমসহ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এসএইচ