বুধবার (১১ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং পল্লবীর কালশি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে অনুষ্ঠিত পৃথক দুটি পথাসভায় তারা এ প্রশ্ন তোলেন।
সমাবেশে নেতারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণাকে যুক্তিহীন ও একপেশে বলে অভিহিত করে বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানীতে ভোক্তাদের সব যুক্তি অগ্রাহ্য করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে সিন্ডিকেট কাজ করছে। ইতিপূর্বেও আমরা দেখেছি পেঁয়াজের সিন্ডিকেট হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়েছে। চাল-ডাল-তেল, পানি-বিদ্যুতের দাম লাগামহীনভাবে বাড়লেও, বাজার ব্যবস্থায় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। সেই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু সিন্ডিকেট নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণেও আমরা সিন্ডিকেটের কারসাজী দেখতে পাচ্ছি, তাহলে আমাদের প্রশ্ন- দেশ কি সিন্ডিকেট চালায়, না সরকার চালায়?
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমনের সংবাদে মাস্ক, হ্যান্ডওয়াস, স্যানিটাইজার, হ্যান্ডগ্লাভসসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অবিলম্বে এই সমস্ত উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক কমরেড কিশোর রায়ের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন দত্ত কুমার চৌধুরী, জাকির হোসেন রাজু, মোস্তফা আলমগীর রতন, মহানগর সম্পাদক মন্ডলির সদস্য জাহাঙ্গির আলম ফজলু, অতুলন দাস আলো প্রমুখ।
অপরদিকে পল্লবীর কালশি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে কমরেড আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথস্পভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগর কমিটির সভাপতি কমরেড আবুল হোসাইন, মহানগর সদস্য রফিকুল ইসলাম সুজন, তাপস কুমার রায়, জামিরুল ইসলাম ডালিম, আবুল কালাম, অ্যাড. সুমাইয়া ইসলাম, কামরুন নাহার, ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, ইয়াতুন নেসা রুমা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
আরকেআর/ওএইচ/এজে