তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে সমগ্র জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অন্যদিকে সরকার ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে।
রোববার (২৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে অলি আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল সরকারের। সে দায়িত্ব পালনে তারা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে নিশ্চিত দেশবাসী গণহারে অকাল মৃত্যুর শিকার হতে হবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত রোগী ও সম্ভাব্য আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা করা। এছাড়া ভাইরাসের প্রকোপ যাতে না বাড়ে তার জন্য সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক যাবতীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
এলডিপির সভাপতি বলেন, ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে প্রায় দেড় কোটি লোক সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে কেউ করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকলে তাদের মাধ্যমে পরিবার-পরিজন ও পাড়া-প্রতিবেশী আক্রান্ত হবে। লম্বা ছুটি দিলেও তাদের নিজ নিজ গৃহে থাকার নির্দেশ দেওয়া উচিত ছিল। যা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
অলি আহমদ বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই বয়স্ক। বাংলাদেশে যারা মারা গেছেন তাদের কয়েকজনের বয়সও ৬০ বছরের বেশি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। মারাত্মক ঝুঁকি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আমি বাংলাদেশেও সাজাপ্রাপ্ত সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এমএইচ/আরবি/