তিনি মনে করেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোববার (১২ এপ্রিল) ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ জামাল মোস্তফাকে চিঠি দেন তিনি।
চিঠিতে তাবিথ উল্লেখ করেছেন, অভাবী মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য ডিএনসিসি দুটি হটলাইন নম্বর চালু করলেও তাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন না দরিদ্ররা। যে কয়েকজন হটলাইনে কথা বলেছেন, তাদের কাছে ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছায়নি। এ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশনকে মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
চিঠিতে তিনি বর্তমান বাস্তবতায় সিটি করপোরেশনের কী করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তার পরামর্শগুলো হলো- হটলাইনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। কতগুলো ফোন নেওয়া করা হয়েছে এবং কতজনকে সহায়তা করা হয়েছে, সে তথ্য প্রতিদিন ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। খাদ্য সহায়তার জন্য উত্তর সিটির জোনাল কার্যালয়গুলোতে ফুড ব্যাংক গড়ে তুলে এস্টেট অফিসার, এনজিও ফাউন্ডেশন এবং করপোরেট রিটেইল অফিসারদের সহায়তা নিতে হবে। যেসব নাগরিক ব্যক্তিগতভাবে সহায়তা করতে ইচ্ছুক তাদের উৎসাহিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন বাজার এবং আবাসিক এলাকার প্রবেশদ্বার ও বের হওয়ার পথসহ প্রত্যেক এলাকায় হাত ধোয়া কেন্দ্র স্থাপন এবং সেখানে তাপমাত্রাও নির্ণয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিটি করপোরেশনের সব কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশন সেন্টার করা উচিত। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য এবং আবাসিক এলাকা থেকে আবর্জনা সংগ্রহ ও ধ্বংসে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, যাতে ব্যবহৃত সুঁচ, গ্লাভস, মাস্ক ও পিপিই যেন অবৈধভাবে ফের ব্যবহারে সুযোগ তৈরি না হয়।
জাতীয় সঙ্কটের এ সময়ে আমাদের সবাই কিছু না কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু আমাদের সবার কাছে পর্যাপ্ত সম্পদ নেই। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে সিটি করপোরেশনকে ঝুঁকি নিয়ে অতিসত্বর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, জনস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তাই সিটি করপোরেশনের প্রধান ম্যান্ডেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/