বুধবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন রওশন এরশাদ।
বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, হাওর অঞ্চলে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে ধান কাটা প্রায় শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগে কোনো রাজনীতি নয়, চাই জাতীয় উদ্যোগ। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব পরিলক্ষিত হয়নি। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে সমগ্র পৃথিবী আজ ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও সম্পূর্ণ অপরিচিত প্রাণঘাতী এ মহামারি মোকাবিলায় চিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক নিউজ পেপার দ্য ইকোনমিস্ট করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির নিরাপত্তা নিয়ে গবেষণার তালিকায় দেখা যায় চীন-ভারত থেকে নিরাপদ বাংলাদেশের অর্থনীতি।
নিঃসন্দেহে বলতেই হবে সম্মাজনক এ অর্জন। জনগণ যখন ঘরবন্দি তখন প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী মানুষকে সচেতন করছে। চিকিৎসকরা হাসপতালে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন তাদের এ কর্মপ্রয়াস অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। একদিকে লকডাউন দিয়ে অন্যদিকে দোকানপাট খুলে দেওয়ায় করোনা পরিস্থিতি যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সরকারকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জাতীয় পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপশি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল, সাধারণ জনগণ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একযোগে কাজ করলে অচিরেই দেশ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এসএমএকে/ওএইচ/