ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাতির মনন তৈরিতে ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২০
জাতির মনন তৈরিতে ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু

ঢাকা: স্বাধীনতার জন্য জাতির মনন তৈরির লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (৭ জুন) ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসটি উপলক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস।

১৯৬৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে যার লক্ষ্য ছিল ধাপে ধাপে যাতে জাতি স্বাধীনতার দিকে যায়, সেজন্য জাতির মনন তৈরি।

‘এই ছয় দফার পক্ষে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব বাংলার মানুষ অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন এবং ছয় দফার ভিত্তিতেই ১৯৭০ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এদেশের মানুষের নিরঙ্কুশ সমর্থনে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় লাভ করেছিলেন। কয়েকটি বাদে পূর্ব বাংলার প্রায় সব ক’টি আসনেই তিনি জয়লাভ করেছিলেন।  

বঙ্গবন্ধুর ৫৩তম জন্মদিনে ১৯৭২ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রখ্যাত রাজনীতিক কমরেড মনি সিংহ’র বক্তব্য উদ্ধৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৫১ সালেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেসময়ই বঙ্গবন্ধু তার চিঠিতে মনি সিংহকে লিখেছিলেন যে, তিনি স্বাধীনতার পরিকল্পনা করছেন। এতে তার সমর্থন আছে কিনা, তাও জানতে চেয়েছিলেন।  

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বহু আগে, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেছিলেন আসলে এই পাকিস্তানের মধ্যে বাঙালিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, বাঙালিরা সব সময় নিষ্পেষিত হবে, নির্যাতিত হবে। সেজন্য বহু আগেই তিনি স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। নানা আন্দোলন, সংগ্রাম পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন জাতির মনন তৈরির লক্ষ্যে, স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে।  

একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসময় আক্ষেপ করে বলেন, তবে স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও এটি দুঃখজনক যে, একটি রাজনৈতিক দল বিএনপি তারা এখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের দলের মধ্যেও বহু স্বাধীনতাবিরোধী আছে। এবং এখনো স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের শক্তি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয়। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।