হানিফ বলেন, বিশ্বের মানুষের কাছে চ্যালেঞ্জ- এই ভাইরাস থেকে কীভাবে মানুষ মুক্তি পাবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও বড় একটি দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছি।
মঙ্গলবার (৯ জুন) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে থেকে সম্প্রচার করা হয়।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এই দুর্যোগ মেকাবিলায় শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মুহূর্ত মনিটরিং করেছেন। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন যাতে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারি। মানুষ যাতে খাদ্য, চিকিৎসায় কষ্ট না পায় সেজন্য সার্বক্ষণিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
‘পাশপাশি জীবন ও জীবিকার কথা মাথায় রেখে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের দেশের অর্থনীতির একটি মূল স্তম্ভ হচ্ছে পোশাক শিল্প। এই শিল্পখাতটি বিশেষ করে আমাদের যারা প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা এসব দেশ যখন তারা তাদের প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে তখন আমরা যদি আমাদের কারখানা বন্ধ রাখি তাহলে আমাদের বাজারটা আস্তে আস্তে আমরা হারিয়ে ফেলবো। এই কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
তিনি বলেন, আমরা যদি সেফটিকে অগ্রাধিকার দেই তাহলে সংক্রমণ বাড়ার সুযোগ নেই। এটি কঠিন কাজ নয়। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা এবং নাকে-মুখে যতটা সম্ভব হাত না দেওয়া, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব যদি রাখতে পারি তাহলে আমরা করোনার এই ট্রান্সমিশন বন্ধ রাখতে পারি।
‘শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। উনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সব সেক্টরে এগিয়ে গেছি। তিনি এই দুর্যোগ মোকাবিলা করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সফণ হবেন। ’
আালোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, অনলাইনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালা দেশের প্রত্যেক জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত হবে। আমরা প্রথমে বিভাগভিত্তিক করবো, পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু করবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
এসকে/এএ