বুধবার (১০ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, গালফ নিউজ ও কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, মানবপাচার ও অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন জালিয়াতিতে জড়িত অভিযোগে অন্তত একশ ব্যক্তির তালিকা করেছে কুয়েত সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের হিড়িক চলে। বর্তমানে এমপি হতে ভোটের প্রয়োজন হয় না। নির্বাচনের আগের রাতেই নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা রাতের ভোটে এমপি বানিয়ে দেন। লক্ষ্মীপুরের সেই এমপি তারই একটি উদাহারণ।
‘বিগত ১২ বছরে সুইস ব্যাংকসহ মালয়েশিয়া, কানাডায় লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, মেগা প্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার মহাদুর্নীতি, দখল ও নিয়োগবাণিজ্যের মাধ্যমে দেশজুড়ে যে লুটের মহোৎসব চলছে কুয়েতে এমপি গ্রেফতার তারই একটি নমুনা মাত্র। ’
রিজভী বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত পাপুল শুধু একাই এমপি হননি, তার স্ত্রীকেও এমপি বানিয়েছেন। যাদের ধনস্ফীতির কোনো বৈধ উৎস জানা যায় না, তাদেরই রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু থামছেই না। সরকারের ব্যর্থতায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সরকারি প্রেসনোটে প্রতিদিন যে খবর প্রকাশিত হচ্ছে বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই। একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার, একটি ভেন্টিলেটরের জন্য মানুষ হাহাকার করছে। প্রতিবছরই বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য দশ হাজার থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এই বরাদ্দের টাকা দিয়ে যদি স্বাস্থ্যখাতের উন্নতি করা হতো তাহলে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশ মুখ থুবড়ে পড়তো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
এমএইচ/এএ