ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, ২০১৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলের পরে আমি দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সৌভাগ্য অর্জন করি। একজন রাজনৈতিককর্মী হিসেবে যারা ছিলেন আমার কাছে পূজনীয়, বাংলাদেশের রাজনীতির জীবন্ত কিংবদন্তি, তাদের অনেকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়।
আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে ১৪ দলের দপ্তরের সার্বিক কাজটিও আমাকে করতে হতো। এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে আমার যোগাযোগটা ছিল নিয়মিত। কাজের মাধ্যমেই বাংলাদেশের রাজনীতির অন্যতম সিনিয়র নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে চিনেছি। তিনি খুব বেশি ম্যাচিউরড একজন পলিটিশিয়ান ছিলেন। যেকোনো সংকটে তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত-বক্তব্য ছিল খুবই ব্যালেন্সড। আমৃত্যু মোহাম্মদ নাসিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি অনুগত ও বিশ্বস্ত ছিলেন। সব সংকটে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর হিসেবে সর্বদা পাশে ছিলেন।
অনেক অভিজ্ঞতার কারণে নাসিম ভাই বাংলাদেশের রাজনীতির একজন প্রাজ্ঞ বিশ্লেষক ছিলেন। তিনি আমাকে বিশেষ স্নেহ করতেন। যখন টেলিফোন করতেন বা কথা বলতেন, আমার প্রতি তার স্নেহ ও ভালোবাসা প্রতিফলিত হতো। আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরে তিনি নিজেই আমাকে ১৪ দলের এক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করেছিলেন। নাসিম ভাইয়ের পরিবারের এক সদস্যের মুখেও জেনেছিলাম, একদিন তিনি বাসার খাবার টেবিলে কোনো এক বিষয়ে আমার গল্প করছিলেন।
নাসিম ভাই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে নাসিম ভাইয়ের শরীরের খবর রাখা আমার দায়িত্ব ছিল। প্রতিদিন নাসিম ভাইয়ের সন্তান তানভীর শাকিল জয়ের মাধ্যমে খবর নিতাম। নাসিম ভাই কয়েকদিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় ছিলেন। যে খারাপ সংবাদটির জন্য সবসময় শঙ্কায় ছিলাম, আজ সকালে সেই খবরটিই পেলাম। নাসিম ভাই আর আমাদের মাঝে নেই।
তিনি এমন একটি সময়ে বিদায় নিলেন যখন সারাবিশ্ব করোনায় আক্রান্ত। যার কারণে নাসিম ভাইয়ের প্রাপ্য সম্মান আর আমাদের শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আয়োজনও সীমিত রাখতে হচ্ছে। শ্রদ্ধেয় নাসিম ভাই, আপনি পরপারে শান্তিতে থাকুন। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এসকে/টিএ