বর্তমানে তিনি মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে পেনশনের দাবিদার। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ছাড়া তো মেলে না নিজের ভাগের অর্থ।
এ খবর জানার পর এগিয়ে আসে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস। স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা সুমি আরা পারভীন তার অধীনস্থ দু’জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে পাঠিয়ে দেন বেলায়েত হোসেনের কাছে।
ভোটার হতে গেলে ছবি তুলতে হয় এবং সেই ছবি ও তথ্য সন্নিবেশ করতে হয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্যভাণ্ডারে। সেজন্য বেলায়েত হোসেনকে আসতে হয় উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কাছাকাছি। কিন্তু ইসির তথ্যভাণ্ডারের যাবতীয় সরঞ্জাম দোতলায়। তাই নির্বাচন কার্যালয়ের পাশ্ববর্তী সুবিধাজনক স্থানে হুইল চেয়ারে বসিয়েই ভোটার করে নেওয়া হয় তাকে।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. মোস্তফা কামাল ও শারমিন আরা সার্ভারের সঙ্গে বাড়তি ক্যাবলের সংযোগ দিয়ে সব সরঞ্জাম নিয়ে যান ভবনের বাইরে। সেখানেই সব কাজ সম্পন্ন করেন।
মো. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুন) ৪০ ফুট ল্যান ক্যাবল ভাড়া করে এনে আমরা কাজটি সম্পন্ন করি। ভোটার হওয়া সবার অধিকার। আর বেলায়েত হোসেনকে সৃষ্টিকর্তা সক্ষমতা দেননি। তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নির্দেশনায় আমরা এগিয়ে যাই। ’
বেলায়েত হোসেনের বাড়ি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের শাহবাজ গ্রামে।
নির্বাচন কমিশন এর আগেও শারীরিক ভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে ভোটার করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শয্যাশায়ী ব্যক্তির বাসায় গিয়েও ভোটার করে নেওয়ার নজির রয়েছে ইসির।
এনআইডি ব্যতীত বলতে গেলে বর্তমানে দেশে কোনো সেবাই মেলে না। এমনকি বাড়ি ভাড়াও পাওয়া যায় না। ইসির তথ্য ভাণ্ডারে ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যভাণ্ডার থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি শতাধিক প্রতিষ্ঠান তথ্য যাচাই সাপেক্ষে সেবা দিচ্ছে নাগরিকদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২০
ইইউডি/এফএম