শুক্রবার (২৬ জুন) নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, জাতিসংঘের নির্যাতন ও অন্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি বিষয়ক কনভেনশনে অন্তর্ভুক্তির সময় বাংলাদেশ ঘোষণা করে, দেশের বিরাজমান আইন ও বিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৪ অনুচ্ছেদের ১ উপধারা অনুযায়ী প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র নিজ দেশের আইনগত প্রক্রিয়ায় নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের প্রতিকার প্রাপ্তি এবং ন্যায্য ও পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের একটি প্রয়োগযোগ্য অধিকার যেখানে যতটা সম্ভব ততটা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
নেতারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হলেও নির্যাতিত মানুষের নিরাপত্তা দেয়া তথা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারে ও প্রতিরোধে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। তাই নির্যাতনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পন্থায় অপরাধ হিসেবে গণ্য করে আইন কার্যকর করতে হবে। নির্যাতন স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করা, নির্যাতনবিরোধী কনভেনশনের ১৪ অনুচ্ছেদের ১ উপধারার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, নির্যাতিত মানুষকে পর্যাপ্ত সাহায্য দেয়া।
তারা বাংলাদেশে নির্যাতিতদের নিরাপত্তা দিতে সবধরনের অপপ্রয়োগ এবং নির্যাতনের সংস্কৃতির প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং সরকারকে চরম অমানবিক মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সত্যিকার প্রতিকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এমএইচ/আরবি/