সোমবার (২৯ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ‘চলমান এ দুঃসময়ে ইলেকট্রিক বিল, ইনকাম ট্যাক্স, অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স, মিউনিসিপ্যাল ট্যাক্স ও অন্য যেসব ট্যাক্স আছে, তা আপাতত বন্ধ করা উচিত।
নেতারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের এ সময়ে দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় নেই। কিন্তু থেমে নেই এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায়। বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন কিস্তি আদায় স্থগিত করলেও মানছেন না এনজিও কর্মকর্তারা। চলমান মহামারিতে গভীর সংকটে পড়েছেন শ্রমজীবী, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। রুটি-রুজির সীমাহীন সংকটে পড়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এসব মানুষ ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে পড়ে রয়েছেন। ’
নেতারা আরও বলেন, ‘৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ না রাখলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সরকার ‘কাগুজে হুংকার’ দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেছে। কিস্তি আদায় বন্ধ করতে সরকারের কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। করোনা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ এমনিতেই চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কিস্তির যন্ত্রণা মেনে নেওয়া যায় না। কিস্তির যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। করোনা-পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের সব ধরনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২০
এমএইচ/এফএম