সোমাবার (৭ জুলাই) দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, পাটকল বন্ধের কারণ দেশের মানুষ জানে ও বোঝে।
পাটকল বন্ধে আমলাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, এই আমলারা এবং পাটের ফড়িয়া মিলে সিন্ডিকেট করে সঠিক সময়ে পাট কিনতে দেয় না। যখন কৃষকের কাছে পাট থাকে তখন আমলারা পাট কেনার অর্থ ছাড় করে না। টাকা ছাড় করে যখন কম দামে পাট ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়।
‘পাটের দাম যখন দুই হাজার ৫শ টাকা হয় তখন মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় করা হয়। ফলে কৃষকও লাভবান হয় না, শিল্পেরও কোনো লাভ হয় না। মাঝখান থেকে ফড়িয়া পাটের বাড়তি মূল্য পায়, যার বাটোয়ারা পায় বিজেএমসি, আমলা ও সরকারের লোকেরা।
তিনি আরও বলেন, গত ৪৮ বছরে এই পাটশিল্পের কোনো আধুনিকায়ন করা হয়নি। সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, লুটপাট, সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করে রাখা পাটকলে লোকসানের জন্য দায়ী। পাটকল বন্ধ করে দিলে পাটকলের যে জমি আছে তার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে পাটকলের মেশিন এবং স্থাপনাসহ আরও দশ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদ এখন আপনারা লুটপাট করবেন।
সমাবেশ থেকে খুলনার দু’জন শ্রমিকনেতা গ্রেফতারের সমালোচনা করে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া ও কেন্দ্রীয় সদস্য জান্নাতুল মরিয়ম। এছাড়াও সংসতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
সমাবেশ শেষে পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০২০
আরকেআর/এএ