কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে অন্যের জমি বেচা-কেনা ও দখল চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় কুষ্টিয়া শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনসহ (৫০) ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মো. ওয়াদুল ওরফে মিন্টু খন্দকার (৬০), কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মো. মিলন হোসেন (৩৮), মিন্টু খন্দকারের বোন লাহিনী দাসপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার শেখের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন (৫০) এবং অপর বোন খন্দকার আব্দুল আজিজেরর স্ত্রী মোছা. জাহানারা খাতুন (৪৫)।
একই সঙ্গে পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রেশনের ঘটনায় ক্রেতা হিসেবে জড়িত মহিবুল ইসলামকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মহিবুল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাটদহচর গ্রামের মৃত সাহাজদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে। চক্রটি জালিয়াতি করে প্রায় ১০০ কোটি টাকার জমি কেনা-বেচার মাধ্যেমে দখলের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক অপরাধে জড়িত এমন অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটি এক চিঠিতে শহর যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সে কারণে বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের কোনো অপরাধের দায় যুবলীগ বহন করবে না।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়তি করে অন্যের জমি কেনা-বেচা ও দখল সংক্রান্ত প্রতিবেদন তুলে ধরায় বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কুষ্টিয়া শহরের এন এস রোডের বাসিন্দা এম এম ওয়াদুদের করা জালিয়াতি মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরনের সব প্রতারককে গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
এসআই