ঢাকা: চট্টগ্রামের বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা তৌকির ইসলামকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার ছয় বছর পার হলেও এখনো বিচারের আশায় বসে আছে তার পরিবারের লোকজন। এ হত্যা মামলায় পুলিশ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত তৌকিরের পরিবারের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এসময় নিহতের মা আয়শা বেগম জানান, ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট রাতে ঢাকায় সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য লোহাগাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত ১০টার দিকে কমলাপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের একটি বগিতে ওঠেন। পরে একই বগিতে সাতকানিয়া উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী ওঠেন। ট্রেনটি গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন পার হওয়ার পরপর সিটে বসাকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
তিনি আরও জানান, সাতকানিয়ার নেতাকর্মীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় তারা জোরপূর্বক লোহাগাড়ার নেতাকর্মীদের সিট থেকে তুলে দেন। পরে ট্রেনটি গাজীপুরের নিমতলী এলাকায় পৌঁছার পর সাতকানিয়ার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে প্রথমে তৌকির ইসলাম ও পরে মোরশেদুল আলম নিভিল, শাহেদ হোসেন ও মাইসা হোসেন রিপনকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন।
'এসময় পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চারজনই গুরুতর আহত হন। পরে লোহাগাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাত আড়াইটার দিকে তৌকিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। '
আয়শা বেগম জানান, ওই মামলায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি। উল্টো আসামি ধরা বাবদ পুলিশ তাদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছে। পরে চূড়ান্ত রিপোর্টও দিয়েছে আদালতে। বর্তমানে মামলাটি আবারও তদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
তৌকির হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন নিহতের মা। এসময় সংবাদ সম্মেলনে নিহত তৌকিকের ভাই আলমগীর হোসেন ও ভাবি জেবুন্নেছা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
এইচএমএস/আরবি/