ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

ধর্ষকের পৃষ্ঠপোষকদের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: ভিপি নুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
ধর্ষকের পৃষ্ঠপোষকদের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়: ভিপি নুর ছবি: শাকিল

ঢাকা: স্বাধীনতার ৫০ বছর পর বাংলাদেশে কোনো স্বাধীনতাবিরোধী নেই উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী ট্যাগ দিয়ে যারা ধর্ষণকে বৈধতা দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। না হলে আমাদের মা-বোনেরা এদেশে স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা পাবে না।

ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকদের কাছে বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত পদযাত্রা শুরুর আগমুহূর্তে একথা বলেন নুর।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন নেতা বলেছেন যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তাদের আমরা ক্রসফায়ার দিতে চাই। আমি বলবো আপনাদের মতলব ভালো না। ক্রসফায়ারের নাম করে আপনারা এ পর্যন্ত তিন হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই একদম নিরাপরাধ নিরীহ মানুষ। মূলত এই ক্রসফায়ারকে ক্ষমতায় থাকার একটি পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।  

নুর বলেন, একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সবশেষ সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা ঘটলো। কিন্তু ঘটনাগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। আমরা খুব লজ্জিত হই যখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ধর্ষণের ঘটনা কোনো দেশে না ঘটে। এসব কথা বলে বাংলাদেশে ধর্ষণের বৈধতা দিতে চায়।  

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন কিছুদিন আগে আইন ও সালিশ কেন্দ্র বলেছে গত আট মাসে ৮৮৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে গড়ে ১১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এই যে ১১১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো কয়টি ঘটনার বিচার হয়েছে? রাজনৈতিক প্রভাব বিচারের দীর্ঘসূত্রতা। যেখানে আইনে বলা আছে ৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে। কিন্তু এই ধর্ষণের বিচার হতে কয়েকবছর পর্যন্ত সময় লেগে যায়।  

সভা শেষে ভিপি নুরের নেতৃত্বে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের একটি পদযাত্রা মৎস্যভবন, শাহাবাগ, টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় পদযাত্রায় থাকা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।