ঢাকা: ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে (আইপিএস) বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আপত্তির কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অস্বীকার করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ষ্ট্রিফেন বিগ্যান সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় স্পষ্ট করেই বলেছেন তিনি তাদের সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে করা সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশকে আইপিএস-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলেও অভিহিত করেছেন। এটা দিবালোকের মতো স্পষ্টই যে, আইপিএস-এর জন্য সমর্থন আদায় করার জন্যই মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর ছিল।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরে সৃষ্ট পরিস্থিতি, ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধ, কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সামরিক জোট গড়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র তিন সপ্তাহ আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সফর করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের সিয়েটো চুক্তিতে যোগদানের ফল এ দেশের মানুষ দেখেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিণতির মধ্য দিয়েই এ দেশের মানুষ সিয়েটো সেন্টা চুক্তির অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়েছিল। এ কারণেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষতার নীতিই কেবল গ্রহণ করেননি, তার নেতাতে পরিণত হয়েছিলেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অন্য দেশের চোখ দিয়ে দেখে না বলে যে, বোকাবুঝ দেওয়া হয়েছে তার কোনো অবকাশ নেই। পররাষ্ট্রনীতিতে স্বাধীন ভূমিকা বাংলাদেশের মূলনীতির অংশ এবং সংবিধান অনুসারেই বাংলাদেশ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির নামে এই অঞ্চলে যে সামরিক জোট গড়ে তোলা হচ্ছে তাতে যোগ দিতে পারে না। আর সেটা হলে তা হবে বাংলাদেশের সংবিধান ও সরকারের ঘোষিত নীতির বিরোধী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২০
আরকেআর/এমজেএফ