ঢাকা: সংবিধানের ৭০ ধারা সংসদীয় সরকার ব্যবস্থাকে বিকলাঙ্গ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বনানী অফিসে জাতীয় শ্রমিক পার্টির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সংবিধানের ৭০ ধারার কারণে সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। আর এ কারণেই সংসদে একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯০ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। কিন্তু ৯১ সালে তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে দেশে প্রাতিষ্ঠানিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধানই সরকার প্রধান হচ্ছেন, তিনি (প্রধান) যা বলবেন তাই হবে। কারণ, দলের বাইরে কথা বললে সংসদ সদস্যের পদ চলে যাবে।
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। তাই অপরাধ প্রবণতা রোধ করতে পারছে না সরকার।
তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে অপরাধীদের বিচার হয়েছে। প্রমাণ হয়েছে শুধু জাতীয় পার্টিই দেশে উন্নয়ন এবং সুশাসন দিতে পারে।
জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আজম খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুস সালাম, আহসান আদেলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খাঁন ও যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২০
এসএমএকে/ওএইচ/