ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে তথাকথিত গণতন্ত্রের মোড়ক থাকলেও প্রকৃত গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে গণতন্ত্রকে চূর্ণবিচূর্ণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তরিকুল ইসলাম স্মৃতি সংসদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কথায় কথায় ক্ষতাসীনরা বলেন- দেশে বিএনপি নেই, বিএনপির দলের অস্তিত্ব নেই, বিএনপির রাজনীতি বলতে কিছু নেই। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের মুখে কেন এত বেশি বিএনপির নাম বলতে হবে। তার মানে বিএনপি আছে, বিএনপিকে তারা ভয় পায়। তারা জানে এই অবৈধ সরকারকে হটিয়ে একমাত্র বিএনপিই পারে প্রকৃত গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে। তারা বিএনপি নেত্রীকে ভয় পায়, এজন্য তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তারা ভয় পায় যদি খালেদা জিয়া উন্মুক্ত থাকেন তবে দেশে কঠোর আন্দোলন হবে, গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের মধ্যে সংকট চলছে, যে সংকট আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করলে সংকট তো আসবেই। আজ দ্রব্যমূল্য তিন-চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি করবেন আর কৃষকের জন্য কিছু করবেন না, এতে সংকট আসবেই।
তিনি বলেন, জিডিপির কথা বললে আওয়ামী লীগ সরকার রাগ করে। আমি সরকারকে বললো একজন প্রকৃত অর্থনীতিবিদের কাছে যান, যিনি আপনাদের উচ্ছিষ্ট খান না, তিনি বুঝিয়ে দেবেন জিডিপি কী, কাকে বলে। কথায় কথায় জিডিপির কথা বলেন, প্রকৃত জিডিপি জানতে কৃষকের কাছে যান, তাদের উন্নতি কতটা হয়েছে খোঁজ নেন। এখনও অনেক মানুষ দুই বেলার খাবার পায় না, তাদের কাছে জিডিপির কথা বলুন, জেনে আসুন।
বিএনপির স্থায়ী কিমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বরকতুল্লা বুলু, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
ইএআর/এমজেএফ