ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকারের এজেন্টরাই গাড়ি পুড়িয়েছে: ফখরুল 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
সরকারের এজেন্টরাই গাড়ি পুড়িয়েছে: ফখরুল  বক্তব্য দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীতে একই দিনে ১১টি গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সরকারের এজেন্টরাই এসব গাড়ি পুড়িয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশে গণতন্ত্র না থাকলে দুষ্কৃতিকারীরা গাড়ি পোড়ানোর মতো নাশকতা চালায়। সরকারের কিছু এজেন্ট থাকে, যারা ষড়যন্ত্র করে, তারাই আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে গাড়ি পুড়িয়ে নাশকতার সৃষ্টি করে। এমন নাশকতার তীব্র নিন্দা জানাই। ”

ডিআরইউয়ের সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ এবং মির্জা ফখরুলের জীবনী পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “প্রথমে এক-এগারোর সরকারের লক্ষ্য ছিল ‘মাইনাস টু’। পরে তারা মাইনাস ওয়ান বাস্তবায়ন করেন। আর তাদের এ কাজে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সে সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় এলে এক-এগারোর সরকারের সব কাজের বৈধতা দেবেন। সেজন্য ক্ষমতায় এসেই তিনি বিএনপিকে নির্মূল করতে থাকেন, যা গণতন্ত্রের জন্য ভালো ফল আনেনি, আনবেও না। সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যাতে সমগ্র গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা নেই। এটাই বড় সমস্যা। কারো কোনো জবাবদিহিতা নেই। ”

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মতের অমিলের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিএনপিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। প্রতি শনিবার আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ”

খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি মানসিকভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। আমাদের রাজনীতিতে তার প্রভাব রয়েছে। তিনি রাজনীতি থেকে যাননি, যাবেন না। তার অস্তিত্ব গভীরভাবে দেশের জনগণের মধ্যে আছে। ”

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তার চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যাওয়াটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ”

‘গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায় বিএনপি’,- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, “এ দেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায় আওয়ামী লীগ। বাকশাল গঠন করে তারাই এ দেশের গণতন্ত্রের কবর দিয়েছিল। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ বিভিন্ন আইন করেছেন তারা, যা গণতন্ত্রের পক্ষে নয়। ”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের বর্তমানে পলিটিক্যাল এজেন্ডা একটাই, প্রকৃত জনগণের সরকার ও সংসদ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনোভাবেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার চাই। ”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সংসদে জনগণের কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় না। চার-পাঁচ মিনিটের মধ্যে আইন পাস হয়, যা জনগণের কোনো কাজে লাগে না। ”

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
ডিএন/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।