ঢাকা: বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাস, কারচুপি গোপন করতেই পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায় সরকার। অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রিন্স বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে এর দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর অন্যায়ভাবে চাপিয়ে অতীতের মতোই বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট কারচুপির প্রতিবাদে বিএনপির নেতাকর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল হয়েছে নয়াপল্টনে। বলা হচ্ছে, এই মিছিল থেকে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে, যা সর্বৈব মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মিছিল বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হবার মূহূর্তে কে বা কারা বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আনুমানিক ৪০০ ফুট দূরে আনন্দ ভবনের সামনের বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। অথচ বলা হচ্ছে, মিছিল থেকে বিএনপির কর্মীরা আগুন দিয়েছে। তাহলে ঢাকা শহরের অন্যান্য স্থানে বাসে আগুন লাগানোর ঘটনা কারা ঘটিয়েছে?
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, প্রকৃত অর্থে ক্ষমতাসীনদের এজেন্টরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল নিয়ে সরকার এসব করেছে। যারা ভোট ডাকাতি করেছে, তারাই ষড়যন্ত্র করে এসব কাণ্ড করছে, অতীতেও তারা একই কাজ করেছে। নির্বাচন হলো উত্তরায়, আর গাড়ি জ্বললো দক্ষিণে, এতে বিএনপিকে জড়িত করা হাস্যকর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল্লাহ ইমরান, জাসাসের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান, কৃষক দল নেতা শাহজাহান সম্রাট প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ