ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ক্ষমতাসীনরা দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বুধবার (৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। বর্তমানে দেশের মানুষের মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। এদেশে শুধুমাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোরই কোনো নিরাপত্তা নেই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও নিরপেক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে কারান্তরীণও করে রাখা হয়েছে। দেশে চলছে অমানবিক স্বৈরশাসন।
তিনি বলেন, শাসকগোষ্ঠী পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চরম কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন সেই আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আজকের এ মানবাধিকার দিবসে আমি খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন নির্দয় আচরণের নিন্দা জানাই। আমি অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, যুগে যুগে তরুণরাই সমাজের অসঙ্গতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আজও মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে তরুণদের সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকারের শাসনামলে মানুষের ন্যূনতম বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা নেই। নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ তথা প্রতিবাদ করার ন্যূনতম সুযোগ অবশিষ্ট নেই। নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এ হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এমএইচ/আরবি