নারায়ণগঞ্জ: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) রূপগঞ্জের রূপসীর বাসভবনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রূপসী এলাকায় ঘটে এ ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রূপসী বাসভবনে প্রতি শুক্রবার পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক) নেতাকর্মীদের সময় দিয়ে থাকেন। কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি ও প্রতিপক্ষ কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনির হোসেন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রূপসী বাসভবনে আসেন। এসময় গোলাম রসুল কলি গ্রুপের লোকজন পনির হোসেনসহ তার লোকজন দেখে ক্ষিপ্ত হতে থাকে। এক পর্যায়ে মন্ত্রীর সামনেই উভয় গ্রুপের লোকজন কথা কাটাকাটি ও মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পনির হোসেন, হাসান, শরীফ, ফারুক, রাশেদসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ আওয়ামী লীগ নেতারা উভয় পক্ষের হট্টগোল থামানোর চেষ্টা করেন। পরে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীরপ্রতীক) সহযোগিতায় মারপিট থামানো হয়। মন্ত্রীর বাসভবনে এমন ঘটনাকে ন্যক্কারজনক বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরেই কাঞ্চন পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পনির হোসেনের সঙ্গে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির বিরোধ চলে আসছিলো। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বিরাব বাজারে থাকা পনির হোসেনের কার্যালয়ে হঠাৎ করে গোলাম রসুল কলির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা একটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এছাড়া কার্যালয়ের ভেতরে থাকা কাঁচের গ্লাস, চেয়ার-টেবিলও ভাঙচুর করা হয়। এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পনির হোসেনের লোকজনসহ স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন।
শুক্রবার সকালে পনির হোসেনসহ তার লোকজন হামলা ভাঙচুরের ঘটনার বিচার দিতে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) এর রূপসী বাসভবনে যায়। সেখানে প্রতিপক্ষ গোলাম রসুল কলিসহ তাদের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীর বাসভবনে দুই গ্রুপ মখোমুখি হলে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র পনির হোসেন বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে সেটা মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে তার বাড়িতে ঘটেছে। তিনি এ ঘটনার সমাধান করবেন। এ ব্যাপারে আমি গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নই।
এ ব্যাপারে জানতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এমদাদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কলটি রিসিভ হয়নি।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
নিউজ ডেস্ক