নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) নামে এক সাংবাদিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।
আরও পড়ুন: কাদের মির্জা-বাদল গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩০
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুযারি) রাত ৮টার দিকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা পাঠানো হয়। কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান ইমাম রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙ্গে দিলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল অভিযোগ করেন যে আবদুল কাদের তার ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। এ অভিযোগ তুলে এর প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন বাদল।
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আবদুল কাদের মির্জা এলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে সাংবাদিক মুজাক্কিরসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আহত হন দু’পক্ষের অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এসআই