ঢাকা: জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে এ সরকারও টিকতে পারবে না বলে উল্লেখ করেছে গণসংহতি আন্দোলন।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলনের এক জরুরি সভায় এ কথা বলা হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়দে সাকির সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, মনির উদ্দীন পাপ্পু, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।
সভায় নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেভাবে বেশির ভাগ অপরাধকেই জামিন অযোগ্য করা হয়েছে তার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন লেখক মুশতাক। তাকে বিনা বিচারে যেভাবে গত দশ মাস যাবৎ আটক রাখা হয়েছে, ছয় বার তার জামিন বঞ্চিত করা হয়েছে, সেটাই তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। ফলে এ দায় রাষ্ট্রপক্ষের, সরকারের। একটা জনসম্মতিহীন, ফ্যাসিবাদী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এ আইনকে সরকার জনগণের ভেতর ভীতি তৈরির একটা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এ আইন গণবিরোধী, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণকারী আইন। এ আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সভা থেকে আরও বলা হয়, জনগণের নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা ২০১৮ সালে যা বলেছিলাম বর্তমানে এর প্রতিটি আশঙ্কাই সত্য বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আজ হোক বা কাল মানুষ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হবেই। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডেরই বিচার করা হবে। দমন-পীড়ন করে কোনোকালেই স্বৈরাচারী ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায়নি, যায় না। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করে এ সরকারও টিকতে পারবে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক কার্টুনিস্ট কিশোরসহ এ আইন বিলুপ্ত করে গ্রেফতারকৃত ও আটক সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিও করেন নেতারা। একইসঙ্গে প্রতিবাদী ছাত্রদের ওপর শাহবাগ ও প্রেসক্লাবে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং আটক সবার মুক্তি দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
আরকেআর/আরবি