ঢাকা: অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিচার, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদকারী সব গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) বিকেল ৫টায় দেশব্যাপী বিক্ষোভের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ দাবি করা হয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশ বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ (মার্কসবাদী) এর আ ক ম জহিরুল ইসলাম, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, ইউসিএলবির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারার সুযোগ নিয়ে সরকার এবং সরকারের সুবিধাভোগীরা বিরোধী মতের ব্যক্তিদের শায়েস্তা করার জন্য এর ব্যবহার করছে। মুশতাক, কিশোর, দিদারের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটেছে। সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধিতা এক নয়। জনগণের টাকায় যাদের বেতন হয়, জনগণ যাদের নির্বাচিত করে, তাদের সমালোচনা করার অধিকার জনগণের রয়েছে। এটি নাগরিক অধিকার। ভোটারবিহীন বা মধ্যরাতের নির্বাচনের সরকারকে অবৈধ বলা বা তার পদত্যাগ দাবি করা রাষ্ট্রের বিরোধিতা নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়।
বক্তারা বলেন, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তাকে স্বাধীন মতপ্রকাশের অপরাধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নয় মাস কারান্তরীণ রাখা হয়। ছয়বার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। তাকে হত্যার দায় ক্ষমতাসীন সরকারকে নিতে হবে। সরকার একাধিক কমিটি করেছে। সেইসব কমিটির রিপোর্টে মুশতাকের মৃত্যু স্বাভাবিক বলা হয়েছে। দেশের মানুষের কাছে এ রিপোর্ট গ্রহণযোগ্য নয়।
সমাবেশ থেকে নেতারা অবিলম্বে খুলনার শ্রমিকনেতা রুহুল আমিনসহ মুশতাকের মৃত্যুর প্রতিবাদকারী গ্রেফতার হওয়া সবার মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ