রাজশাহী: দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিভাবকহীন অবস্থায় চলছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। অর্থাৎ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াই চলছে দল।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০৫ সালের ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি। সম্মেলনে মহানগর কমিটির সভাপতি পদে এস.এম মাসুদুল হক ডুলু আর সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচিত হন। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটিও গঠিত হয়।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। আর সভাপতি মাসুদুল হক ডুলু মৃত্যুবরণ তাও দুই বছর হয়ে গেছে।
এর আগে অবশ্য দলীয় সিদ্ধান্ত উপো করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তাকে বহিস্কার করা হয়। তাকে সহযোগীতা করায় বহিস্কৃত হন সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দিন লাবু। এরপর থেকেই শূণ্য রয়েছে সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের পদ।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় এ,এইচ,এম খায়রুজ্জামান লিটন সাধারণ সম্পাদক পদ ছেড়ে দিলে যুগ্ম সম্পাদক-১ অধ্য শফিকুর রহমান বাদশাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাবিবুর রহমান বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘কোন দলীয় সভা করে তাকে এই পদ দেওয়া হয়নি। ফলে এ নিয়ে দলের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে চাপা ােভ রয়েছে। অনেক েেত্র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় দলের মধ্যে দ্বিধা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। ’
তবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্য শফিকুর রহমান বাদশা বাংলানিউজ-এর কাছে দাবি করেছেন, দল এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সুসংগঠিত।
তিনি জানান, গত ফেব্র“য়ারি ও মার্চ সাংগঠনিক মাস হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। সেসময় দলে নতুন সদস্য সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে কাউন্সিলও অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে লিখিতভাবে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এখনও সেই পদে আছেন।
তবে এত দিনেও সভাপতির শূন্য পদটি কেন পূরণ হয়নি তার কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১০