ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন চালু আছে: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
ভারতের সঙ্গে পণ্য পরিবহন চালু আছে: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: করোনা মহামারির মধ্যে ভারতের সঙ্গে কার্যত সীমান্ত চালু নেই, শুধু পণ্য পরিবহন চালু আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।  

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের জরুরি বৈঠক শেষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

 

এসময় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কাশেম হুমায়ুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

ভারতে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সীমান্ত বন্ধ করার দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে সীমান্ত কার্যত যেভাবে চালু থাকে সেভাবে চালু নেই। বাংলাদেশের কোনো মানুষ সেখানে যেতে পারছে না, সেখান থেকে বাংলাদেশেও কেউ আসতে পারছে না। কিন্তু পণ্য পরিবহন চালু আছে।  

‘মির্জা ফখরুল সাহেব কি পণ্য পরিবহনও বন্ধ করে দিতে বলেছেন যাতে বাংলাদেশে পণ্যের সঙ্কট পড়ে। তিনি বুদ্ধিমান মানুষ, তিনি বুদ্ধি করেই বলেছেন। যাতে দেশে একটি সঙ্কট তৈরি হয়। কার্যত সীমান্ত চালু নেই, শুধু পণ্য পরিবহন চালু আছে। ’

ভারতে করোনা পরিস্থিতি খুবই খারাপ, তার মধ্যে সরকার আজ থেকে মার্কেট খুলে দিলো। এসময়ে এটা আমাদের জন্য কতটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত বলে আপনার মনে হচ্ছে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার লকডাউন দেওয়ার পর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে লকডাউন না দেওয়ার জন্য। দোকান খোলার জন্যও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সরকারকে তো জীবন-জীবিকা দুটোই রক্ষা করতে হবে। জীবন-জীবিকা রক্ষার মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। বিশ্বব্যাপী এটি প্রশংসিত হয়েছে। সরকার প্রথম দফা যখন লকডাউন দেয় তখনও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন নানা আলোচনা-সমলোচনা, বিশেষজ্ঞদের মত-অভিমত আমরা দেখেছি।

তিনি বলেন, সরকার অর্থনীতিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। পৃথিবীর মাত্র ২০টি দেশে পজিটিভ গ্রোথ অর্জন হয়েছে গত বছর। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি এবং বাংলাদেশ সেখানে তিন নম্বরে রয়েছে। যে দু’টি দেশ আমাদের আগে আছে সেগুলো হলো সাউথ সুদান এবং গায়ানা। তাদের অর্থনীতি খুবই ছোট এবং জনসংখ্যা কম। সেই তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বরে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো খেটে খাওয়া মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে এবং দেশের কয়েক কোটি মানুষ দোকানের উপর নির্ভরশীল, সামনে ঈদ। এগুলো বিবেচনায় রাখতে হয়। সেজন্য সরকার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমি মনে করি করোনা মহামারি পৃথিবীতে চলছে, দেশে মহামারির থাবা এখন বিরাজমান। সেই কথা মাথায় আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি আমরা কাজ করি তাহলে করোনাকে মোকাবিলা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা নানান কথা বলেন তাদের সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই কাউকে কাউকে দেখি প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে মানবন্ধন করেন এবং সরকারকে অনুরোধ জানান ত্রাণ দেওয়ার জন্য। সরকার ত্রাণ দিচ্ছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও সারা দেশব্যাপী ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, পরিচালনা করা হচ্ছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটেও দিচ্ছে। যারা প্রেসক্লাবে গিয়ে দাবি জানিয়েছেন তারা একশ প্যাকেট নিয়ে দাঁড়াননি ওখানে দুস্থ মানুষকে দেওয়ার জন্য।  

**চাকরিচ্যুত ২০০০ সাংবাদিক পাবেন ১০০০০ করে টাকা: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।