ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রথম নির্বাহী সমন্বয়কারী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুস সালামের চতুর্থ মৃত্যুবাষির্কী পালিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) বেলা ১২টায় হাতিরপুলে দলীয় কার্যালয়ে আবদুস সালামের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন নেতাকর্মীরা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই শ্রদ্ধা জানিয়ে আবদুস সালামের স্মৃতির প্রতি ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন—বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, মওলানা ভাসানী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য জুলফিকার আলী, বাসদ মার্কসবাদীর কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহিদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা বিধান দাস, বাংলাদেশ বহুমুখী শ্রমজীবী ও হকার্স সমিতির সভাপতি বাচ্চু ভূইয়া, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখ্তার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের (টাফ) সহ-সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, গণসংহতি আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য আরিফুল ইসলাম, প্রবীর সাহাসহ অন্যান্য নেতারা।
সবশেষে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান রুবেল নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে আবদুস সালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা বর্তমানের রাজনৈতিক সংকটকালে প্রতি মুহূর্তে জননেতা আবদুস সালামের শূন্যতা অনুভব করি। তিনি আজীবন মানুষের মুক্তির লড়াই করে গেছেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তারের জন্য সংবিধান সংস্কারের প্রশ্নটি তিনি সামনে তুলে ধরেছিলেন। দেশের মানুষের মুক্তির জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলে যুক্ত থেকেছেন, দল গড়েছেন এমনকি প্রয়োজনে দল ছেড়েছেনও। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বকারী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের লড়াই বেগবান করার মাধ্যমেই আমরা সালাম ভাইকে স্মরণ করতে চাই, তার দেখানো পথে হাঁটতে চাই। আমরা বিশ্বাস করি, এই সংগ্রামই তাকে বাঁচিয়ে রাখবে।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আবদুস সালামের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সময়ে আবদুস সালামকে ভীষণ প্রয়োজন ছিল। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, ঐক্য তৈরির চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত ও বিশাল হৃদয়ের লড়াকু মানুষ ছিলেন তিনি। তিনি শুধু নেতাই ছিলেন না, তিনি আমাদের অভিভাবকও ছিলেন। আমাদের সংগ্রামের মধ্য দিয়েই সালাম ভাই বেঁচে থাকবেন, আজকের দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ