ঢাকা: ‘দেশে গণতন্ত্র নেই। আজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের ৪০তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নিয়েছি’।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৩০ মে) দুপুরে পল্লবীর অনিক প্লাজার সামনে অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহ সভাপতি একে এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এরপর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জান্নাতুল মাওয়া মাদ্রাসা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।
সেখানে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক আমিনুল ইসলাম অংশ নেন। এছাড়াও পল্লবী, রূপনগর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কালসী, পল্লবী মল্লিকা হাউজিং এবং পল্লবী এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এসব কর্মসূচিতে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা বুলবুল আহমেদ মল্লিক, আব্দুল আউয়াল, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক ও শফিকুল ইসলাম মিল্টন।
বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির জন্ম কোথায় তা জানার দরকার নেই, তার কর্ম ভালো। ক্যান্টনমেন্টে যদি বিএনপির জন্ম হয়ে থাকে তা কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। কিন্তু যারা বলেন তাদের চিন্তাধারা এবং জন্ম কোথায়? দেশের মাটিতে নাকি ভিন দেশে? এটা জানা জরুরি। কারণ, যারা শাসন করছেন তারা দেশের জন্য নয়, দেশের জনগণের জন্য নয়। তারা হচ্ছে অন্য দেশের তরে।
গয়েশ্বর বলেন, আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবারই গণতন্ত্র হরণ করেছে। আর বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। একটি দেশের গণতন্ত্র না থাকলে সেদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। তাই, আমাদেরকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
জিয়াউর রহমানকে জাতির ক্রান্তিকালের দূত উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে চুপ করে থাকেননি। তিনি মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে তিনি একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। তিনি আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছেন আমাদের নেতা খালেদা জিয়া। তিনি গত এক যুগের বেশি সময় পর্যন্ত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করছেন, কারাবন্দি হয়েছেন। এখনও কার্যত তিনি মুক্ত হন। তাই, তাকে সবাই ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ হিসেবে ডাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমএইচ/এএটি