ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করলেন জাবি ছাত্রলীগ কর্মী

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করলেন জাবি ছাত্রলীগ কর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।

শনিবার (১২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান সংলগ্ন ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী হলেন মনোয়ার হোসেন হিমেল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ওই ছাত্রলীগ কর্মীর শাস্তি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারধরের শিকার নিরাপত্তাকর্মী মো. ফয়সাল কবির।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, গেটের দুই অংশ খুলে দিতে বলার পর আমি তাকে বললাম যে, একটি অংশ খোলা যাবে। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি আমার বাবা-মাকে নিয়ে গালাগালি শুরু করেন এবং মারধর করেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। এছাড়া রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমবাগান গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় ফটকের দুই অংশ খুলে দিতে নিরাপত্তাকর্মীকে নির্দেশ দেন ছাত্রলীগ কর্মী মনোয়ার হোসেন হিমেল। তবে গেটের দুই অংশ খোলা যাবে না বলে জানান কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মী ফয়সাল কবির। এ সময় গেট খুলতে বাধ্য করতে নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করা শুরু করেন ওই ছাত্রলীগ কর্মী। পরবর্তীতে গেট খুলে দেওয়া হলেও আরও লোকজন নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ফয়সালকে মারধর করতে আসেন হিমেল। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও একাধিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করে দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মী মনোয়ার হোসেন হিমেল বলেন, আমি ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইছিলাম, তখন গেটের একটা অংশ খোলা ছিল। আমি গার্ডকে বললাম গেটের দুই অংশ খুলে দিতে। কিন্তু সে খোলে নাই, পরে আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তখন একটা থাপ্পড় দিয়ে ফেলেছি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার অভিভাবক ছাত্রলীগের মুরাদ ভাই, সবুজ ভাই, সৈকত ভাই এসে সমাধান করে দিয়েছেন।

সহকারী রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, আম বাগানের গেটটা বন্ধ রাখার নির্দেশ আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী এসে গেটের পুরো অংশ খুলে দিতে বলে গার্ড একটা অংশ খুলে দেয়। হঠাৎ করেই ওই শিক্ষার্থী গার্ডের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। আমরা রেজিস্ট্রার, প্রক্টরকে জানিয়েছি। তার যথাযথ শাস্তি দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।