ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কয়রায় বিএনপি নেতাদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
কয়রায় বিএনপি নেতাদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ খুলনা জেলা বিএনপির ত্রাণ বিতরণ

খুলনা: খুলনার কয়রা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে খুলনা ফেরার পথে বিএনপি নেতাদের পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় লাঠির আঘাতে যুবদল নেতা মেহেদী হাসান মিলন ও শামীম আশরাফ আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে উপজেলার চাদআলী সেতুর কাছে এ ঘটনা ঘটে। যদিও পুলিশ এ ঘটনা অস্বীকার করেছে।

কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কয়রার কালনা মাদরাসা মাঠে ত্রাণ বিতরণ শেষে দশহালিয়া বাঁধ পরিদর্শনে যান জেলা বিএনপির নেতারা। পরে সেখান থেকে ফিরে এসে গাড়িতে করে পাইকগাছায় ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিএনপির নেতাদের বহনকারি গাড়ি চাদআলী সেতুর দক্ষিণপারে পৌঁছালে সেখানে পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। তারা বাঁধ পরিদর্শনে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমতি ছিল কিনা জানতে চান। এক পর্যায়ে পুলিশ অকথ্য ভাষায় নেতাদের গালিগালাজ করতে থাকেন। এ সময় গাড়ী থেকে নেমে নেতারা পুলিশকে নিবৃত হতে অনুরোধ করেন। হঠাৎ পুলিশ এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করলে যুবদলের দুই নেতা আহত হন।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ইয়াস দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ দিয়ে পাইকগাছায় ফেরার পথে পুলিশ অহেতুক হামলা করে। হামলার পরে পুলিশ আমাদের গাড়ি কোথাও দাঁড়াতে না দিয়ে পাইকগাছা উপজেলা পার করে দেয়। সেখানে দুর্গত মানুষকে ত্রাণ দেওয়া কথা থাকলেও এ ঘটনায় তা সম্ভব হয়নি। এমনকি আসার পথে মসজিদে জোহরের নামাজ পড়তেও বাঁধা দেয় তারা।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, কয়রায় ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও পুলিশ বাঁধা দিয়েছে। বাঁধ পরিদর্শনের জন্য পুলিশের অনুমতি লাগে তা আমাদের জানা ছিল না। এটা খুবই দুঃখজনক।

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম লাঠিপেটার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তারা (বিএনপি) সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ করে চলে গেছেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। সেখানে লাঠিপেটার ঘটনা কেন ঘটবে। হয়তো ত্রাণ নিতে আসা লোকজনের অনেকেই ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই দায় পুলিশের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন তারা।

উল্লেখ্য, কয়রা উপজেলায় ইয়াস দুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য শনিবার বিএনপির পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মোমরেজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনা। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কুদরতে আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপি উপদেষ্টা ও ত্রাণ কমিটির সদস্য সচিব সেকেন্দার জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, বিএনপি নেতা মোল্লা খায়রুল ইসরাম, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ। এ সময় ৫০০ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
এমআরএম/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।