ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

একজন মানুষ ক’বার জন্মায়, মির্জা ফখরুলের কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
একজন মানুষ ক’বার জন্মায়, মির্জা ফখরুলের কাছে তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব প্রাণী একবার জন্মগ্রহণ করে, মানুষও একবার জন্মগ্রহণ করেন।

পৃথিবীর কোনো মানুষ পাঁচ থেকে ছয় বার জন্মগ্রহণ করে না। কোনো মানুষের পাঁচ থেকে ছয়টি জন্ম তারিখ থাকে না, যেহেতু জন্ম একবারই হয়। অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। সব প্রাণী একবারই জন্মগ্রহণ করেছে। একজন মানুষের ছয়টা জন্ম তারিখ হওয়া মানে তার জন্ম তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তারাই সেটা করছে।  

সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়ার জন্ম সংক্রান্ত তথ্যাদি উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে। সেটি নিয়ে আজ মির্জা ফখরুল সাহেব সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো হাইকোর্টের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন, আইন-আদালতের প্রতি অসম্মান। তিনি সেখানে কিছু আপত্তিকর কথাও বলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি নির্দিষ্ট দিনে কেউ জন্ম নিতে পারবে না সেটা বল দিলেই হয়, এটি প্রচণ্ড আপত্তিকর। কে কোনদিন জন্ম গ্রহণ করবে সেটি নির্দারণ করেন মহান আল্লাহ। স্রষ্টার ইচ্ছায় যে কেউ যেকোনো জায়গায় জন্মগ্রহণ করতে পারেন।

তিনি বলেন, ‘খালেদার ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি তার মেট্রিক পরীক্ষা ফলাফলে তার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর, বিবাহ সনদে তারিখ ১৯৪৪ সালের ৫ আগস্ট, সরকারি নথিতে তার জন্ম তারিখ ১৯৪৭ সালের ১৯ আগস্ট, বর্তমানের পাসপোর্টে আছে ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট, সম্প্রতি করোনা টেস্টে জন্মের তারিখ উল্লেখ আছে ১৯৪৬ সালের ৮ মে। মির্জা ফখরুলের কাছে প্রশ্ন একজন মানুষ কয়বার জন্মায়। আপনারা খালেদা জিয়াকে পাঁচ থেকে ছয় বার জন্মতারিখ দিয়ে কেন বারবার জন্ম গ্রহণ করালেন। ওনার কোনো সরকারি নথিতে জন্ম তারিখ ১৫ আগস্ট কোথাও উল্লেখ নেই। অথচ সেদিন বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদার জন্ম তারিখ বলে কেক কাটা হয়। প্রকৃতপক্ষে ১৫ আগস্ট কেক কাটা হয় সেদিনের হাত্যাকাণ্ডে সমর্থন দেওয়ার জন্য, হত্যাকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য এবং উপহাস করার জন্য।  

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। আদালতের নির্দেশনা অবশ্যই সবার কাছে পালনীয়। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নিশ্চয়ই সব তথ্য-উপাত্ত আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।