ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি স্কপের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি স্কপের

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিক হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।

শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি করা হয়।

স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক নুর কুতুব মান্নানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, রাজেকুজ্জামান রতন, সাইফুজ্জামান বাদশা, সাকিল আক্তার চৌধুরী, খলিলুর রহমান, আহসান হাবিব বুলবুল, ফিরোজ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, খালেকুজ্জামান লিপন, সরদার খোরশেদ, প্রকাশ দত্ত প্রমুখ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিকের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটা অবহেলাজনিত ও কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় ফায়ার সার্ভিস, স্থাপনা তদারকি সংস্থা, পরিবেশ অধিদফতর, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের অনেকগুলো দফতর যুক্ত।

তারা আরও বলেন, অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছাড়া, বিল্ডিং কোড অনুসরণ ছাড়া, আইন না মেনে কারখানা পরিচালনার অনুমোদন কীভাবে পেল? কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিদর্শনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও সমানভাবে দায়ী। প্রশাসনিক তদন্ত নয় বিচার বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দায়ী প্রত্যেককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও বিচার করার দাবি জানান।

সমাবেশ থেকে নিহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবার প্রতি আজীবন আয়ের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহত-ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা, বিনামূল্যে চিকিৎসা ও যথাযথ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শ্রমিক ফ্রন্ট কার্যালয়ে স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক থেকে সাকিল আক্তার চৌধুরী ও আহসান হাবিব বুলবুলের নেতৃত্বে রফিকুল ইসলাম, ফিরোজ হোসেন, প্রকাশ দত্ত, কনক বর্মন, কাজী রুহুল আমিন, মো. রফিকসহ নয় সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়।

এছাড়া আগামী ১২ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ক্রিয়াশীল সব শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময় সভা ও ১৫ জুলাই সকাল ১১টায় শ্রমমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে গণতদন্ত কমিশন গঠন, আইনজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।