ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কোন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে বলুক: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
কোন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে বলুক: ফখরুল

ঢাকা: ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে বিএনপির পাঁচ প্রস্তাবের অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন করে বলেছেন, কোন কোন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে সেটা তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলুক।

রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কোনটা কোনটা বাস্তবায়ন করেছে সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্টভাবে তারা বলুক। আর চর্বিত চর্বণতো প্রতিদিন তারাই করছেন। আমরা কিন্তু প্রত্যেক দিন নতুন নতুন ইস্যুতে আসছি। তাদের সমস্যা হলো তারা কোনো সমালোচনা শুনতে চান না। আমরা শুধুমাত্র সমালোচনা করি না, প্রস্তাবও দেই এবং কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যাবে সেই প্রস্তাবটিই আমরা তুলে ধরেছি। তাদের যে একলা চলো নীতি, দুর্নীতি-লুটপাটনীতি এটাই এ দেশ ও জাতিকে আজকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

ওয়ার্ড পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ওয়ার্ড কমিটিতে আবার দুর্নীতি শুরু হবে। ওখানেও টাকা-পয়সা ভাগ করে নেবে, আর কী?

তিনি বলেন, আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করতে বলি না, আমরা বলি সরকারের যে হাসপাতালগুলো আছে সেগুলো ইকুইপড করুক, বেড সংখ্যা বাড়াক, ডাক্তার বাড়াক, সচেতনতা বাড়াক, ওষুধ সরবরাহ করুক, অক্সিজেন সরবরাহ করুক, আইসিইউ বেড রাখুক, তাহলেইতো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

কোভিড মোকাবিলায় কার্ফ্যু জারি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কার্ফ্যু জারি কোনো সমাধান নয়। এ লকডাউনও যদি সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের অর্থের ব্যবস্থা করতে না পারে, খাদ্যের ব্যবস্থা করতে না পারে তাহলেও অপরিকল্পিত লকডাউনও সঠিক সমাধান আনতে পারবে না। যেসব লকডাউন, কঠোর লকডাউন হয়েছে সেখানে কিন্তু যেভাবে দূরত্ব সৃষ্টি করা দরকার সেটা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে মানুষ হয়রানি হচ্ছেন, খাদ্যের অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। শুধু গরিব মানুষকে ধরে ধরে জেলে পুরে দিলেই হবে না। পত্রিকায় দেখলাম সাড়ে চার হাজার মানুষকে জেলে দেওয়া হয়েছে। এরা কারা? এরা সাধারণ গরিব মানুষ। তারা দিন আনে দিন খায়, রিকশা, ঠেলাগাড়ি চালায়, কোনো রেস্টুরেন্টে চাকরি করে। এরা বের হলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এমনও কথা বেড়িয়েছে যে বাবার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে গেছে, তাকে আটকে রেখেছে, বাবা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে। এটা কোনো সমাধান নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।