ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রাবি প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কেউ যেন না আসে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
রাবি প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কেউ যেন না আসে

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) নিয়ে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতির কোনো সমাধান বের হচ্ছে না। বিগত ভিসির মেয়াদের শেষ দিনে মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেওয়া নিয়োগ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

ভিসি নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির বিরুদ্ধে পদায়নের দাবিতে আন্দোলন-অবরোধ করছেন।

এ অবস্থার অবসানে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভিসি নিয়োগ দেওয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজশাহীর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

তিনি বলেন, রাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভিসি নিয়োগ যেমন জরুরি, তেমনি এক্ষেত্রে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়াটা আরও জরুরি।

বাদশা বলেন, ভিসির গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত হতে হবে। কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তির নিয়োগ ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাকেও ধূলায় মিশিয়ে দেবে। বিতর্কিত, বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিতর্কিত ভূমিকার কাউকে ভিসি-প্রো-ভিসি নিয়োগ কেউই মেনে নেবে না। তখন বিষয়টি আর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকবে না। তখন এটি রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত হবে।

শিক্ষামন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্য আরও বলেন, মনে রাখা দরকার- একসময় ড. আবদুল বারীকে ভিসি নিয়োগ দিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া, যিনি স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে তাকে করে বিদায় করেছিল।

রাকসুর সাবেক এই ভিপি আরো বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। এখানে বিতর্কিত কাউকে আনা হলে এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিবাদ জানানো ছাড়া তখন আর কোনো উপায় থাকবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
এসএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।