ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে সরকার: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২১
মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে সরকার: ফখরুল

ঢাকা: আমলা নির্ভর এ সরকার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা মানুষের জীবন-জীবিকাকে বিপন্ন করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের প্রয়াত সদস্য ফজলুর রহমান পটলের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োচিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভার আয়োজন করে ফজলুর রহমান পটলের পরিবার। এতে প্রয়াত নেতার পত্নী কামরুন্নাহার শিরিনসহ তার সন্তানদের তত্ত্বাবধায়নে নাটোরের লালপুর-বাগাতিপাড়ায় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা প্রথম থেকে সরকারকে সর্তক করেছিলাম যে, একটা জাতীয় কনভেনশন করে অথবা সব রাজনৈতিক দল, বিশেষজ্ঞ, সব সামাজিক সংগঠন-এনজিও তাদের সমন্বয়ে একটা কমিটি গঠন করা হোক। যাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে এই সংক্রমণকে মোকাবিলা করা যায়। দুর্ভাগ্য সরকার এটাকে কর্ণপাতই করেনি। তারা শুধুমাত্র আমলাদের ওপর নির্ভর করে আজকে করোনা পরিস্থিতিকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে যেই জায়গায় এক কথায় বলা চলে যে, সম্পূর্ণ অব্যবস্থাপনা, একেবারে দলীয় সংকীর্ণতা, দলীয়করণ এবং দুর্নীতি আজকে সব ব্যবস্থাটাকে গ্রাস করে ফেলেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার হচ্ছে- তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। অর্থাৎ তাদের টাকা চাই। আর সেই সঙ্গে যেটা দরকার হয় তারা পিঠে কুলু দিয়েছে যেখানে কোনো রকমের পরিস্থিতি তারা আঁচই করতে পারে না।

লকডাউনের নামে সরকার তামাশা করছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউন দেয়।  কিসের লকডাউন, কেউ বুঝতে পারি না? কখনো বলে লকডাউন, কখনো বলে সরকারি ছুটি, কখনো বলে কঠোর লকডাউন, কখনো বলে আরো কঠোর লকডাউন। এই যে একটা অবস্থা তৈরি করেছে-তামাশা। তাদের কাছে মানুষের জীবন-জীবিকা একটা তামাশা।

রাজপথ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, যারা তরুণ আছেন, যুবক আছেন তাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে, তাদের সাহস নিয়ে রাজপথে আসতে হবে। রাজপথ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেই রাজপথে আসার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে আমাদের সামনের দিকে এগুতে হবে। আর নিজেদের মধ্যে দলাদলিটা একেবারে বন্ধ করুন, নিজেদের মধ্যে কোন্দলটা বন্ধ করতে হবে। ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। ঐক্য ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গে যেতে হবে। আমাদের বাম-ডান, দক্ষিণ-পশ্চিম সবাইকে এক সঙ্গে করতে হবে এবং সবাইকে এক সঙ্গে এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

প্রয়াত ফজলুর রহমান পটলের কন্যা দলের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের সঞ্চালনায় সভায় আরও  বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, ওবায়দুর রহমান চন্দন, নাটোরের আমিনুল হক, রহিম নেওয়াজ, লালপুরের ইয়াসীর আরশাদ রাজন, হারুনুর রশিদ পাপ্পু, গোপালপুরের নজরুল ইসলাম মোল্লা, বাগাতিপাড়ার জামাল হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও হাফিজুর রহমান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।