ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘কোনো দলের নয়, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সম্পদ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
‘কোনো দলের নয়, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির সম্পদ’

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কোনো দলের নয়, তিনি বাঙালি জাতির সম্পদ।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দলীয় সম্পদ করতে চেয়ে আওয়ামী লীগ ছোট করছে।

তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।

রোববার (১৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক অলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জি এম কাদের এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি জাতির সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। একই সময়ে দেশের মানুষকে উজ্জীবিত করেছিলেন তিনি। ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর মতো নেতৃত্ব বিরল। তাই বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে জাতির কোনো দ্বিমত নেই।

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মহান জাতীয় সংসদে বক্তব্যে বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতার স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু বাঁধার কারণে তা করতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে খুব স্নেহ করতেন। ১৯৭৫ সালের পর পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আগ পর্যন্ত পাঁচজন রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলেন।  

জি এম কাদের বলেন, জীবনের একটি বিশাল অংশ কারাবরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু, ফাঁসির মুখেও গিয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনোই আপস করেননি বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীনতার আগে তিনি রাষ্ট্রের কোনো পদে ছিলেন না। তিনি ছিলেন গণমানুষের হৃদয়ের নেতা। তাই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ সরকারি কর্মচারীরাও পালন করতেন। কোনো দল নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে। সত্তরের নির্বাচনে অনেকেই প্রার্থীর নাম জানতেন না, তারা শেখ মুজিবের নৌকায় ভোট দিয়েছেন।

শোক দিবসের আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার বিষয়টি উদঘাটন করতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।  

শোক সভায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভয়াবহ রাতে কেউই নিজ দায়িত্ব পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোনো বাহিনী প্রতিরোধ গড়তে এগিয়ে আসেনি।  

তিনি বলেন, যখন বাকশাল গঠন করা হয়, তখন ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ১৫ আগস্টের দিন আওয়ামী লীগের কোনো নেতা, বুদ্ধিজীবী বা বাকশাল খুঁজে পাওয়া যায়নি। কেউ একটি বিবৃতি দেয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে। যারা ১৫ আগস্ট রাতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদের আওয়ামী লীগ অনেক সময় পুরস্কৃত করেছিলেন, এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর হতে পারে না।  

এ সময় বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আব্দুস সাত্তার মিয়া।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।